মানিয়ে নাও মানিয়ে যাও- একদিন সব ঠিক হয়ে যাবে
কথাটা শুনে শুনে বহু দিন ক্ষণ পাড় করে চলেছি অথচ
সময়ের হাত ধরে শুধু প্রিয় মানুষগুলোকে বুঝানো হয় না-যে মানিয়ে নিতে নিতে আমিও ক্লান্ত হয়ে যাই ক্লান্তিগুলো আমাকে আর সামনে এগিয়ে নিয়ে যায় না প্রচন্ড রকম হাঁফাতে হাঁফাতে আমিও এক সময় দম বন্ধ করে দীর্ঘশ্বাসের অগ্নীশিখা ভাসাই নিজের মনের ঘাটে।
তাই সমস্ত আবেগী বাঁধন ছিন্ন করে একদিন ছুটে চললাম গন্তব্যহীন অজানায়,
যেখানে তুমি বা আমি বলে কিছু নাই শুধু
আমার আমিটা বেঁচে থাকার আনন্দ আছে আর আছে প্রান ভরে নিঃস্বার্থ অক্সিজেন।
জীবনটাকে খুব সাধারণের মাঝে রাখতে গিয়ে গভীরতম বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি বার বার।
ঘেঁটে যাওয়া জীবনটা আমাকে অনেক বেশি বাস্তবতার আলো দেখিয়েছে সময় নামক আয়নার প্রতিবিম্বে।
আমি বহুবার সঙ্গতায় বাঁচতে চেয়েছি অথচ নিয়তির খেলায় ঠিক ততবারই নিঃসঙ্গ হয়েছি,
আমি বহুবার প্রেমের বাঁধনে আষ্টে-পৃষ্ঠে বেঁধে প্রিয়জনকে আঁকড়ে স্বর্গের সুখ খুঁজেছি অথচ প্রতারনার বেড়াজালে আটকে ততবারই ক্ষত-বিক্ষত হয়েছি।
জীবনের পথ হাঁটতে গিয়ে বয়সের ভারে যারা প্রতিনিয়ত ওপারে যাবার প্রহর গুনছে
তারাই আমাকে বহুরাত গল্প করে শুনিয়েছে -
মানুষকে নাকি একাই বাঁচতে হয়,
জন্মের পর যে ক'টা বছর বাবা- মা আগলে রাখে
সে ক'টা বছরই নাকি জীবন।
তারপর বেঁচে থাকা সেটা নাকি শুধু দেহ রুপি মৃত আত্না নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মত।
অভিজ্ঞতার ভাষাগুলোকে ছুড়ে ফেলে
তবুও আমি আশায় থাকতাম - যেনো
আমার জন্য কেউ একজন আসবার কথা ছিলো
বসন্তের ফাগুন ঝড়া শিমুলের রঙে রঙ মাখিয়ে আমাকে সাজিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো।
দু'চোখের অশ্রু জলে আনন্দ স্রোতে ভাসিয়ে জয়ো ধ্বনি বাজিয়ে আমাকে নিঃসঙ্গতা থেকে মুক্ত করার কথা ছিলো।
সত্যি তার আসার কথা ছিলো !
কিন্তু সবি মিথ্যা হলো--
শুধু মেনে নেওয়াটাই আমার সঙ্গী হলো !!